চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন জয় দিয়েই শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়ে টুর্নামেন্টটির সুপার এইটের স্বপ্ন দেখতে সুরু করে টাইগাররা। কিন্তু সোমবার (১০ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তীরে এসে তরি ডুবিয়ে সেই স্বপ্নে ভাটা পড়ে। তবুও আশা ছাড়ছেন না তাওহীদ হৃদয়।
এদিকে প্রোটিয়াদের ১১৩ রানে আটকানোর পর বাংলাদেশ দলের ইনিংস থামে ১০৯ রানে। ৪ রানে হারের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মোলনে এসেছিলেন হৃদয়। এ সময় জানান বাংলাদেশ সেমিফাইনাল বা ফাইনাল খেলার মতো সামর্থ্য রাখে। ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় শুধু সুপার এইট না, আমরা সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলার মতো দল। এটা আমার বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসটা আছে।’
চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছেন না দলের বাকি ব্যাটাররা। হৃদয় মনে করেন তারা চলতি টুর্নামেন্টেই ঘুরে দাঁড়াবেন, ‘ব্যাটাররা রান করছে না, প্রত্যেক ম্যাচেই সব দলের সবাই রান করে না, ১-২ জন খেলে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট, এখানে ১১ জন খেলে না। যে ২-৩ জন খেলবে, সেদিন যেন খেলাটা শেষ করতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। ব্যাটাররা রান করছে না, ইনশা আল্লাহ সামনের ম্যাচগুলোতে করবে। আশা করি তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াব।’
দলের হয়ে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার মনে হয় ভালো শট ছিল। নরকিয়া (এনরিখ) বেশিরভাগ বল ব্যাক অব লেংথে করে। রান করতে গেলে তো পুল শট খেলতে হবে বা গতিটাকে ব্যবহার করতেই হবে। হয়তো এক্সিকিউশন ভালো হয়নি। আজ যেটা আউট হয়েছে পরেরবার এটা ছয় বা চার হবে।’
হৃদয় আরও বলেন, ‘ম্যাচ হেরে গেছি আমার আউটে। খেলা ফিনিশ করলে হারতাম না। তারা (টপ অর্ডার) তো আউট হয়ে গেছে অনেক আগে। আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম। যদি আমি জেতাতে পারতাম… আমিই আউট হয়ে গেছি, পারিনি। আমার কাছে কখনও মনে হয়নি এই ম্যাচ হারতে পারি। যদি খেলা শেষ করতাম ভিন্ন দৃশ্য হতো। এখান থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে।’